Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে রিজিয়নের সার্বিক চিত্র

সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:


বরেন্দ্র এলাকার সেচ অবকাঠামো সহ পরিবেশ উন্নয়ন এবং মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অন্যতম কাজ। বিগত তিন বছরে ০৪ টি সেচযন্ত্র স্থাপন এবং স্থাপিত ৯০ টি অচালু/অকেজো গভীর নলকূপ সচলকরনের মাধ্যমে প্রায় ১৫৪০ হেক্টর জমি নিয়ন্ত্রিত সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া বিগত তিন বছরে ৬২ টি ডাগওয়েল খনন, ১১৪ টি খাস মজা পুকুর পুনঃখনন করে ভূ-পরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রায় ৫৭৮০ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩৮০ মে.টন ধান বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংরক্ষণপূর্বক কৃষকগণের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে। বরেন্দ্র এলাকায় প্রায় ১.২৬৯ লক্ষ টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি চারা রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া বিগত বছর সমূহে প্রতি বছর প্রায় ১৫৭৫ টি গভীর নলকূপ সেচকাজে ব্যবহার করে ০.৬৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হচ্ছে।


সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:


বরেন্দ্র এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চাপ হ্রাসকরণ, অন্যদিকে সেচ বর্হিভূত এলাকা সেচের আওতায় এনে এক-ফসলী জমিকে তিন-ফসলী জমিতে পরিণত করা। ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদ বৃদ্ধি এবং তা সেচ কাজে ব্যবহার এবং চর এলাকায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ব্যক্তি উদ্যোগে অপরিকল্পিতভাবে সেচযন্ত্র (গভীর নলকূপ) স্থাপন করায় ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে ফসল কর্তন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি, উন্নতমানের বীজ ও কৃষি পণ্য সংরক্ষণে অপ্রতুলতা, বিশুদ্ধ খাবার পানির দুষ্প্রাপ্যতা, স্বল্প বৃক্ষরাজি ইত্যাদি।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:


ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল খাল, পুকুর, দীঘি, বিল পুনঃখনন, হার্ড বারিন্দ অঞ্চলে ডাগওয়েল খনন, ছোট নদীসমূহ পুনঃ খনন এবং রাবার ড্যামসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। পদ্মা, মহানন্দা ও আত্রাই নদী হতে পানি সরবরাহ পূর্বক হার্ড বারিন্দ এলাকায় সেচ সম্প্রসারণ। সোলার পাম্প ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ। ধানের পরিবর্তে স্বল্প পানি প্রয়োজন হয় এমন ফসল উৎপাদন এবং বোরো ধানের পরিবর্তে আউস ধান চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপক বনায়ন, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ) সম্প্রসারণ এবং পানি সাশ্রয়ী আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা। খাবার পানির সংকট নিরসনে স্থাপিত গভীর নলকূপ ও পাতকূয়া হতে গ্রামে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি পুনর্ভরণের লক্ষ্যে রিচার্জ ওয়েল স্থাপন করা।


২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ:

  • ১৬১০ টি সেচযন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে ০.৬৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান;
  • ১০০ মেঃ টন উন্নত মানের বীজ (দানাদার) উৎপাদন এবং ১০০ মেঃ টন উন্নত মানের বীজ (দানাদার) কৃষকদের মাঝে নায্য মূল্যে সরবরাহ করা;